চিতায় খুঁজি বাবার স্মৃতি তুলসি গাছের তলে
ষোল বছর দেখে এসেছি
ভিজিয়ে নয়ন জলে!
রক্তজবা ফুটে রয়েছে স্মৃতির চারপাশ জুড়ে
আলো ছায়ার অন্তরালে
শ্মশান কুলি উড়ে।
বাবা বুঝি হাত বাড়িয়ে আজো আমায় ডাকে
মায়ায় ভরা মুখটি তাঁর
আদর কত মাখে।
লক্ষ তারার দেশে বাবা সেদিনেই গেছেন চলে
যেদিন মায়ের শাঁখা-সিঁদুর
নিয়েছিলো কেউ তুলে!
তখন আমি অবুঝ ছিলাম বাবার বড় ছেলে
নিয়ম মেনে আগুন দিলাম
বাবার মুখে জ্বেলে!
ছোট দুটি ভাই আমার তখন এতিম অসহায়
বাবার অকাল প্রয়াণ দেখে
নির্বাক কাঁদে নিরালায়!
পাতিলে ছিল সরিষা দানা কলসে লোহা কনা
চিতার উপর তুলসি চারা
কলসি করে কানা।
কলস ভরা পানি ছিলো লাল শালুর কাপড়
চিকন বাঁশের বেড়া ছিলো
নেভানো চিতার উপর।
ফুলের চারা রোপন করে কাকা দু’হাত ভরে
দেখেছিলাম সেদিন কাকার চোখে
কান্নার স্রোত পড়ে!
মোমের আলো ছিলো সেদিন আগরের সু-ঘ্রাণ
পাড়া পড়শি স্বজন যারা
গেয়েছিলো করুণ গান!
আজো বুঝি বাবা আমার এখানেই শুয়ে আছে
প্রতিবার স্মরণ করি তাঁরে
আপন দু’চোখ মুছে!
বাবা আমায় ছেড়ে গেলেন ষোলটি বছর ধরে
বাবার প্রিয় ছিলাম আমি
আজো অন্তর পুড়ে!
শান্তিবার্তা ডটকম/২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০/ অজয় রায়