বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার আসামি তারেকুল ইসলাম তারেককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার গরমা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি ওবাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তারেককে সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে। সিলেটে পৌঁছলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে মামলা সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ নিয়ে মামলায় এজাহারনামীয় ৬ আসামিসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এই মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে সোমবার রাত ১১ টায় জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে এই মামলার আসামি মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ। এরআগে রোববার সকালে ছাতক থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও মাধবুপর থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোবার রাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
একই রাতে হবিগঞ্জ সদর থেকে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই রাতেই সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. আইনুদ্দিন ও মো. রাজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। এজাহারে নাম না থাকলেও এই ঘটনার পর থেকে আইনুদ্দিন ও রাজনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামিরাও এ ঘটনায় আইনুদ্দিন ও রাজন জড়িত বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
শান্তিবার্তা ডটকম/২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০/