স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারের ২ হাজার ৫শ টাকার প্রণোদনার তালিকা তৈরিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তৈরি এ তালিকায় স্বজনপ্রীতি, ভুয়া পরিচয় ব্যবহার, প্রকৃত দরিদ্র-অসহায়দের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করাসহ অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে এরই মধ্যে।
হবিগঞ্জে একই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ২শ বার তালিকায় থাকার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
ঠিক একই রকম প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রনোদনা থেকে পাইকাপন গ্রামের প্রকৃত ভুক্তভোগীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড পাইকাপন গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রনোদনার টাকা বিতরণে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উক্ত ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আবুল হাছান পিতা মৃত আসক আলী তার ইচ্ছানুযায়ী লিস্টে নাম অন্তর্ভূত করেছেন। তিনি, কৌশলে মা, বোন, ভাই, সহ চাচাতো ভাই,বোন, ভাইয়ের স্ত্রীদের নামে প্রনোদনা লিস্টে নাম দিয়ে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের বঞ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তির দেখানো লিস্টে এর সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, মেম্বারের মায়ের নাম হচ্ছে হাওয়ারুন, বোনের নাম নাজমা, ভাইয়ের নাম রবিউল হাসান। এছাড়া চাচাত ভাই, খায়রুল হাসানসহ নিজের আত্মিয়দের নামই লিস্টে দেখতে পাওয়া যায়।
পাইকাপন গ্রামের প্রায় ৬০০০ জনসংখ্যার প্রকৃত মানুষদের বঞ্চিত করে এই মহাদুর্যোগ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবধানতার বাণী থাকা সত্তেও প্রশাসনের নাকের ডগায় বারবার এই অনিয়ম হয়ে যাচ্ছে যা সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারেনি।
এ ব্যাপারে, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এবং দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করছে উক্ত গ্রামের প্রকৃত ভুক্তভোগী মানুষ। মেম্বারের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বারবার তিনি এমন দুঃসাহস চালিয়ে যেতেই থাকবেন।
শান্তিবার্তা ডট কম/২৪ মে ২০২০