শান্তিবার্তা ডেস্ক::
আজ ২৫ মার্চ। জাতীয় গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই রাতকে বাঙালির ইতিহাসের কালরাত হিসেবে ধরা হয়। এই রাতেই নিরস্ত্র ও নিরীহ বাঙালির ওপর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের অপারেশনে নির্বিচার মানুষ হত্যা করে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বর্বর গণহত্যার সূচনা করে। তাই বাংলাদেশের সূচনালগ্নের ভয়াবহ স্মৃতিজড়িত ইতিহাসের এক অধ্যায় এ রাত।
জাতীয় সংসদে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হলে দিনটি জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি স্মরণে প্রতিবছর নানা কর্মসূচি নেওয়া হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেন, নানা ষড়যন্ত্র করেও বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে প্রতিহত করতে না পেরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাঙালিদের নিশ্চিহ্ন করতেই ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদারেরা এ দেশের গণমানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় গণহত্যা দিবসের বাণীতে এই দিবসে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও নির্যাতিত মা-বোনকে, যাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা।