মিরপুরে আজ দুই টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথমটিতে জিম্বাবুয়েকে ৪৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে ৮ উইকেটে জিম্বাবুয়ের রান মাত্র ১০৭। শেষ দিকে বাংলাদেশের গাফলতির কারনে আর তিরিপানো-মুম্বাদের হারের আগে শেষ জ্বলে উঠায় জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত থেমেছে ১৫২ রানে।
২০০৬ সালে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৪৩ রানে হারানোর পর তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়েকে বড় জুটিও করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। আর নিজেদের এলোপাতাড়ি ব্যাটিংও জিম্বাবুয়ের জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। চতুর্থ উইকেটে শন উইলিয়ামস আর তিনাশে কামুনহুকামোয়ের ৩২ রানের জুটিই ইনিংসের সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম রান দিয়েছেন (৩ ওভারে ৩৪ রান), তবে উইকেট নিয়েছেন ৩টি। চতুর্থ উইকেটে ৩২ রানের জুটিতে জিম্বাবুয়েকে পাল্টা লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখানো দুই ব্যাটসম্যান উইলিয়ামস-কামুনহুকামোয়ের দুজনকেই তিনি ফিরিয়েছেন নবম ওভারে পরপর দুই বলে।
বোলিংয়ে মুগ্ধ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। ৪ ওভারে ৩২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে নিজের শেষ বলে মুম্বার উইকেটটি নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি। অন্যদিকে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও আফিফ হোসেন।
টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েই তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের তাণ্ডবের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। লিটন ৩৯ বলে ৫৯ রান করে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ার আগে মিরপুরের দর্শকদের ভালোই আনন্দ দিয়েছেন। ৩৩ বলে ৪১ রানে ফিরলেও ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়াটা বেশ উদযাপনই করছিলেন তামিম ইকবাল । তাঁদের গড়ে যাওয়া ৯২ রানের ওপেনিং জুটি আর সৌম্য সরকারের ৩২ বলে ৬২ রানে স্কোর বোর্ডে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ তুলেছে বাংলাদেশ। যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে ছক্কা হয়েছে ১২টি। এটি নিজেদেরই ছক্কার রেকর্ড নতুন করে ছোঁয়া। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ১২ ছক্কা মেরেছিল বাংলাদেশ।